কোর্সের বিবরণ
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বৈশ্বিক ও বাংলাদেশী প্রেক্ষাপট: সচেতনতা ও করনীয়
কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারী বলতে করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯)-এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তারের চলমান ঘটনাটিকে নির্দেশ করা হয়েছে। এই রোগটি একটি বিশেষ ভাইরাসের কারণে সংঘটিত হয়, যার নাম গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভি-২ ভাইরাস)
উদ্ভব ও ইতিহাস
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারের দোকানদারদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। এক সূত্রমতে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন ৫৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তি যিনি ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ সালে আক্রান্ত হন
২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ৬,১৭৪ জন নতুন আক্রান্তের ঘটনা রেকর্ড হয় বলে জানা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে ২০২০ সালের ১১ই মার্চ তারিখে একটি বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের একাধিক প্রকারণের উদ্ভব হয়েছে এবং বিশ্বের বহুসংখ্যক দেশে এই প্রকারণগুলি আধিপত্য বিস্তার করেছে; এদের মধ্যে আলফা, বিটা, ডেলটা ও ওমিক্রন প্রকারণগুলির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
সংক্রমণ এর বিস্তার
আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দেওয়ার ফলে বাতাসে নিক্ষিপ্ত বহু লক্ষ অতিক্ষুদ্র শ্লেষ্মাকণা বাতাসে ভাসতে শুরু করলে নিকটবর্তী অপর কোনও ব্যক্তি সেই ভাইরাসযুক্ত বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে তার দেহেও ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে।
সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণেও অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ ভাইরাস কণা বাতাসে ভাসতে পারে। এছাড়া ভাইরাস কণা টেবিলে বা অন্য কোনও পৃষ্ঠে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে কিংবা ভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শের মাধ্যমে পৃষ্ঠের উপাদানভেদে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন লেগে থাকতে পারে.
একবার সংক্রমিত হবার পরে প্রায় ২০ দিন ভাইরাসটির এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংবাহিত হবার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাধিটির সাধারণ লক্ষণ-উপসর্গগুলি হল জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। ব্যাধিটি জটিল রূপ ধারণ করলে প্রথমে ফুসফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া) হতে পারে এবং আরও গুরুতর রূপ ধারণ করলে তীব্র শ্বাসকষ্টমূলক রোগলক্ষণ সমষ্টি প্রকাশ পেতে পারে, যাতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আপাতদৃষ্টিতে সেরে ওঠার পরেও কোনও কোনও রোগী কোভিড-১৯ পরবর্তী দীর্ঘকাল ধরে রক্তসংবহনজনিত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে (হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, ইত্যাদি) থাকতে পারেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষের দ্বারা গৃহীত জরুরি পদক্ষেপ ও ব্যবস্থাসমূহ
- পরীক্ষণ
- অন্তরণ (আইসোলেশন)
- সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন)
- অবরুদ্ধকরণ (লকডাউন)
- উপসর্গহীন নিরব সংক্রমণ-বাহক অনুসন্ধান: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি বিরাট অংশ (ক্ষেত্রভেদে প্রায় ৬০% বা তারও বেশি) কোনও উপসর্গই প্রকাশ করে না
- টিকাদান
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় (ব্যক্তি পর্যায়ে)
- স্বাস্থ্য-মুখোশ পরিধান
- নাক, মুখ ও চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ না করা
- পরিবেশ পরিষ্কার করে করোনাভাইরাস মুক্তকরণ
আসুন আমরা কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সকল নিয়মকানুন মেনে চলি এবং তথ্য অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে এই মহামারি থেকে পরিত্রাণের উপায় খুজে বের করি।
কোর্সটি থেকে বিশেষ যা যা পাচ্ছেন
- ১ ঘন্টারও কম সময়ে ১৩টি exclusive লেকচার
- কোর্স শেষ করার পর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ
- যেকোনো সমস্যা নিয়ে ফোরামে আলোচনা করার সুযোগ
- HRDI এবং Skill.Jobs থেকে মুল্যবান সার্টিফিকেট
GoEdu Learner’s Manual
Course Features
- Lectures 13
- Quizzes 1
- Duration
- Skill level All levels
- Language Bengali
- Students 1
- Certificate Yes
- Assessments Self