Course Introduction
Lesson Transcript
যদি প্রশ্ন করা হয়, এই পৃথিবীর সব থেকে দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তিটি কে? তবে প্রথম চিন্তাতেই যার নাম মনের মাঝে আসবে তা হলো, বাবা-মা। কারণ, সন্তান জন্ম দেবার মত পবিত্র ও গুরুত্বপুর্ণ কাজটি তারা করে থাকেন যা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এখন আরেকটি প্রশ্ন হলো, সন্তান জন্ম দিলেই কি বাবা-মা হওয়া যায় কিংবা বাবা-মায়ের সকল প্রকার দ্বায়িত্ব কর্তব্য সম্পন্ন হয়ে যায়? এই প্রশ্নটির উত্তরটিই আজকে আমাদের এই কোর্সের আলোচ্য বিষয়।
একটি শিশু জন্মের আগে যখন মায়ের গর্ভে থাকে সেই ১০ মাস ১০ দিনটি প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্যই একটি কঠিন সময়। তাদের সন্তানটি যেন নিরাপদের ভুমিষ্ট হতে পারে সেই কারণে অনেক রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তখন তাদের দুজনকে। অনেক রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। অতঃপর যখন তাদের সন্তানটি পৃথিবীর মুখ দেখতে সক্ষম হয় ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয় তাদের আসল চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জটি যারা সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পারে একমাত্র তারাই হতে পারে যোগ্য বাবা-মা।
সকল ধর্ম গ্রন্থে বাবা-মাকে সর্বদা সর্বোচ্চ সম্মানের স্থানে বসানো হয়েছে। কিন্তু কেন? কারণ বাবা-মাই হচ্ছে একটি শিশুর জীবনের প্রথম শিক্ষক। তার মানুষ হয়ে ওঠার যাত্রা পথের যোগ্য পথ প্রদর্শক। একটি শিশু তার জন্মের পর আদব-কায়দা, আচার-ব্যবহার, শিষ্ঠাচার, আদর্শ, নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান, ধর্মীয় শিক্ষা সব কিছুই তার পরিবার তথা তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। আর এ কারণেই সন্তান জন্ম দিলেই বাবা-মায়ের দ্বায়িত্ব- কর্তব্য কখনো শেষ হয়ে যায় না, বরং নতুন করে শুরু হয় তাদের সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দ্বারা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত অনেক বাবা-মাই থিক মত বুঝতে পারে না কিভাবে সন্তান জন্মের পরবর্তী এই চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবিলা করবে যার ফলে তাদের সামান্য একটু ভুল, অবহেলা কিংবা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেবার কারণে অনেক বড় ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি হয় তাদের সন্তানের জীবনে। এ কারণেই আমরা উপস্থিত হয়েছি আমাদের ‘Challenge Based Parenting’ কোর্সটি নিয়ে, সেই সকল খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে যা প্রতিটি বাবা-মায়েরই তাদের সন্তানের জীবন সফলভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গভীরভাবে মেনে চলা উচিত।
1 Comment
nice course